সিন্ধু চুক্তি স্থগিত, বাংলাদেশেও পানি সরবরাহ বন্ধের আহ্বান

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে।
এই পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান কড়া ভাষায় জানিয়েছে, এটি কার্যত 'যুদ্ধ ঘোষণার' শামিল।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে ভারত সরকার একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। এরই অংশ হিসেবে, পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং পাকিস্তানি পণ্যের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করা হয়েছে। জবাবে ইসলামাবাদও ভারতীয়দের জন্য ভিসা স্থগিত করে এবং ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা ও সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তিকে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়ে, বাংলাদেশে পানিপ্রবাহ বন্ধ করার আহ্বান জানান। তাঁর ভাষায়, "আর কত দিন সাপকে পানি দেব? সময় এসেছে এদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার।"
দুবে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন’ দিচ্ছে এবং এই পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে পানির ভাগাভাগি অব্যাহত রাখা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অতীতে এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এছাড়াও, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান তিনি। সীমান্ত অঞ্চলগুলো আরও সুরক্ষিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দুবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে দুবে বলেন, পেহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থান সারা দেশের জনগণের আস্থা ও সমর্থনকে দৃশ্যমান করেছে। বিহারে এক জনসভায় মোদি ঘোষণা করেন, হামলার পিছনে থাকা সন্ত্রাসীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যা তারা কখনো কল্পনাও করেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, পানিবণ্টন চুক্তিগুলো আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একতরফাভাবে পানি সরবরাহ বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।
১১৩ বার পড়া হয়েছে