নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতির তীরে ভাঙন, হুমকিতে ঘরবাড়ি

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ৮:২৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মধুমতি নদী তীরবর্তী চারটি গ্রামে (কাশিপুর, মাকড়াইল, রামচন্দ্রপুর ও নওখোলা) আগাম নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
যদিও বর্তমানে নদীতে তেমন স্রোত নেই, তারপরও ভাঙন থেমে নেই। বর্ষা আসার আগেই এ ভাঙন নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নদীভাঙনে ওইসব গ্রামের বহু বাড়ি-ঘর ও জমি ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কয়েকটি মসজিদ, আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং গ্রামীণ অবকাঠামো।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এ ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কাশিপুর গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, “বালি তোলার কারণেই আমাদের ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাচ্ছে। আর নতুন করে কোথাও গিয়ে বসবাস করার মতো জমিও নেই।”
মাকড়াইল গ্রামের ফজল মৃধা জানান, “আমাদের কয়েক একর জমি নদীতে চলে গেছে। আমার ভাইয়ের বাড়ি ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাঁধের সামনেই ভাঙন শুরু হয়েছে, যেটা বালু তোলার কারণেই হয়েছে।”
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রিয়াদ জানান, “শালনগর ইউনিয়নের চারটি এলাকার বালি মহলের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন, “নিয়ম না মেনে বালি উত্তোলনের ফলে আমাদের তৈরি প্রতিরক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। বর্ষার আগেই নতুন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।”
স্থানীয়দের আশঙ্কা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এবারের বর্ষা মৌসুমে ভাঙন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
১১১ বার পড়া হয়েছে