সংসদ ভবনে লুকিয়ে ছিলেন ১২ জন: আদালতে জানালেন পলক

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনে জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে লুকিয়ে ছিলেন তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জন।
৫ আগস্ট, ২০২৪ সালের সেই দিন ভোররাত পর্যন্ত তারা সংসদ ভবনে অবরুদ্ধ ছিলেন বলে আজ আদালতে দেওয়া এক বক্তব্যে জানান পলক।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে শুনানি চলাকালে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “৫ আগস্ট রাত আড়াইটা পর্যন্ত আমরা মহান জাতীয় সংসদের একটি কক্ষে ছিলাম। সেদিন সংসদ ভবন আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
আদালতে উপস্থিত হয়ে পলক বলেন, তাকে জেলগেটেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। শুনানিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলকের তিন দিনের রিমান্ড চাইলেও আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, “তিনি (পলক) নিজেই আদালতে স্বীকার করেছেন যে পার্লামেন্টে লুকিয়ে ছিলেন। তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও তখন সেখানে ছিলেন, যদিও তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে সারা দেশে সরকার পতনের উল্লাস শুরু হয়। উত্তাল জনতা দখল করে নেয় গণভবন ও সংসদ ভবন এলাকা। অনেকেই সংসদ কক্ষে ঢুকে ছবি তোলেন, ভিডিও করেন। ঠিক সে সময়ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেতরে অবস্থান করছিলেন সাবেক ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা।
এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে একাধিক মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে শিরীন শারমিন চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছেন—এ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অনেকের ধারণা, তিনি দেশে থেকেই একটি শক্তিশালী পক্ষের নিরাপত্তায় রয়েছেন।
১০৮ বার পড়া হয়েছে