আমের বাজারজাতকরণে অরাজকতা বরদাস্ত হবে না: জেলা প্রশাসক

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, নওগাঁ এখন আমের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পেয়েছে।
বিশেষ করে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে উৎপাদিত আম্রপালি সহ অন্যান্য জাতের আমের সুনাম ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, "নওগাঁর আম শুধু এই জেলারই নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের গর্ব। অনেক আগেই আমকে নওগাঁর ব্র্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।"
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। সভায় আসন্ন আম মৌসুমকে সামনে রেখে আম বাজারজাতকরণ, আড়ৎদারী, ওজন নির্ধারণ, যানজট নিরসন, বাজারের পরিচ্ছন্নতা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, "সাময়িক লাভের আশায় বিশৃঙ্খলা না করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে আম শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আম বাজারে কোন রকমের অরাজকতা বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আম বাজারজাত করতে হবে।"
তিনি আরও জানান, প্রতিবছরই জেলায় আম বাগানের পরিধি বাড়ছে এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমের বাজার হিসেবে সাপাহার ইতোমধ্যেই ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এই অবস্থান ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন সুসংগঠিত ও পরিচ্ছন্ন বাজার ব্যবস্থাপনা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ। এতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, আমচাষী কল্যাণ সমিতি ও আড়ৎদার সমিতির নেতৃবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি বছর জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম্রপালি ও অন্যান্য জাতের আমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে সাপাহার উপজেলায়। প্রতিবছরের মতো এবারও নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আম নামানোর ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারের আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
১০২ বার পড়া হয়েছে