খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবি শিক্ষার্থীরা এখনো নিখোঁজ

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:৩২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর এখনও কোনো খোঁজ মেলেনি।
অপহরণের এক সপ্তাহ পার হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। অব্যাহত অভিযানেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
অপহৃতরা হলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংতি ম্রো।
জানা গেছে, বিজু উৎসব শেষে ১৫ এপ্রিল তারা খাগড়াছড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে গিরিফুল এলাকায় অস্ত্রধারীরা তাদের বহনকারী টমটম গাড়ি থামিয়ে অপহরণ করে। চালককে পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি।
অপহরণের পেছনে ইউপিডিএফ-এর সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। তবে সংগঠনটির খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইউপিডিএফের সন্দেহভাজন একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে সামরিক পোশাক, ওয়াকিটকি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে, তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে, অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। এক নম্বর গেট এলাকায় খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।
অপহৃতদের কয়েকজন অভিভাবকেরও খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। দিব্যি চাকমার নানী শুভমালা চাকমা বলেন, “ঘটনার একদিন পর তাঁর মা ভারতী দেওয়ান দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন, ফোনও বন্ধ।”
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপহরণকারীরা দ্বিতীয় দফায় অভিভাবকদেরও আলাদা করে ডেকে নিয়েছে। কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, “আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছি, তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।”
এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার ছয় শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জকিগঞ্জ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া ওই রাজমিস্ত্রিরা মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে পাহাড়ে আটকে রাখা হয়েছিল। টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, অভিযানে অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলেও শ্রমিকদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
১১২ বার পড়া হয়েছে