সর্বশেষ

জাতীয়

সারাদেশে ‘ফার্মেসি নেটওয়ার্ক’ গড়ার উদ্যোগ, কমবে চিকিৎসা ব্যয় 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:১২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সারা দেশে ওষুধ সহজে ও কম দামে মানুষের কাছে পৌঁছাতে সরকার গড়তে যাচ্ছে একটি ‘ফার্মেসি নেটওয়ার্ক’।

প্রাথমিকভাবে ৭০০ সরকারি হাসপাতালে চালু হবে এই ফার্মেসি। পাশাপাশি উৎপাদন বাড়ানো হবে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৪০০-এর বেশি সরকারি হাসপাতালে গড়ে উঠবে এই ফার্মেসিগুলো। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে ভাড়া করা স্থাপনাতেও ফার্মেসি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।

তিন স্তরের ওষুধ মূল্য:
এই ফার্মেসিগুলোতে তিন ধরনের মূল্যনীতিতে ওষুধ দেওয়া হবে—একটি অংশ বিনামূল্যে, কিছু ভর্তুকি মূল্যে এবং কিছু বাজারমূল্যে। বাজারমূল্যের ওষুধের দাম নির্ধারণ হবে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে।

প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট ও কাউন্সেলিং:
প্রতিটি ফার্মেসিতে থাকবে প্রশিক্ষিত ও নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট। তাঁরা শুধু ওষুধ বিতরণ নয়, রোগীকে ওষুধ ব্যবহারের সঠিক নির্দেশনা ও কাউন্সেলিং-ও দেবেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওষুধ বিতরণ মনিটরিং করা হবে, যাতে চুরি বা অপচয় রোধ করা যায়।

‘ইডিসিএল’-কে আধুনিক করার উদ্যোগ:
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) হবে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ উৎপাদনের মূল উৎস। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো ও প্রযুক্তি উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন, জনবল ছাঁটাই এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আপডেট হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা:
সর্বশেষ ২০১৬ সালে হালনাগাদ হওয়া ওষুধ তালিকা নতুন করে তৈরি হচ্ছে। নতুন তালিকায় ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ওষুধও যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তালিকায় ওষুধের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াতে পারে।

কমিশনের সুপারিশ:
স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশন মনে করছে, ওষুধে জেনেরিক নাম ব্যবহারে জোর দিলে ব্যয় কমবে। কমিশনের প্রস্তাব, মূল্যের ২০ শতাংশ ওষুধের ক্ষেত্রে জেনেরিক নাম বাধ্যতামূলক করা হোক।

এপিআই উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা চায় সরকার:
দেশে ব্যবহৃত ওষুধের কাঁচামাল—এপিআই-এর ৯৫ শতাংশই এখনো আমদানিনির্ভর। সরকার এ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে নীতিসহায়তা ও প্রণোদনা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

সতর্ক শিল্প উদ্যোক্তারা:
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে দেশের ঔষধ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাদের দাবি, নীতিমালা প্রণয়নে সব পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হোক।

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন