এলএনজি সরবরাহে চুক্তি নবায়ন করবে কাতার

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ ৫:৪৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
দোহার আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বাংলাদেশের এলএনজি নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারক নবায়নের বিষয়ে সম্মতি হয় এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি অগ্রগতির ব্যাপারে আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আল কাবি বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে চাই এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সরবরাহ নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিই হলো সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।” তিনি জানান, কাতার এলএনজি উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে দাম হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ ২০১৭ সালে কাতার গ্যাসের সঙ্গে ১৫ বছরের একটি সরকারি-সরকারি (জিটুজি) এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করে, যার আওতায় বছরে প্রায় ৪০টি কার্গো আমদানি হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এই দুই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সমঝোতা স্মারক জানুয়ারিতে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তা নবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার।
বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা জ্বালানি খাত পুনর্গঠনে কাতারের সহায়তা চাই এবং আমাদের সম্ভাবনাগুলো কাতারের সঙ্গে যৌথভাবে অনুসন্ধান করতে আগ্রহী।”
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজি সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, মাতারবাড়ীতে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত থাকবে একটি পাইপলাইন ও পুনর্গ্যাসকৃত এলএনজি সরবরাহব্যবস্থা। বর্তমানে দেশের বিদ্যমান টার্মিনালগুলো বছরে প্রায় ১১৫টি এলএনজি কার্গো পরিচালনার সক্ষমতা রাখে।
বৈঠকে কাতারি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের ইউরিয়া সার আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তুলে ধরেন।
১০৬ বার পড়া হয়েছে