সর্বশেষ

শিক্ষা

দুইছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার, প্রমান হলে ছাত্রত্ব বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ ৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২১ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার।

বহিষ্কৃত দুই ছাত্রী হলেন—ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী এবং ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরই একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঐ দুই ছাত্রীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতেই তাদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী জানান, “প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের বিষয়ে জানতে চেয়ে আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। আমরা প্রাথমিক তদন্তের আলোকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জানা গেছে, ঘটনার দিন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে চা-সিঙ্গারা খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকা তিন ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে হাসাহাসির অভিযোগে ঐ ছাত্রীরা তাদের বন্ধুদের ফোন করেন। এরপর উভয়পক্ষকে নিয়ে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি মীমাংসা করে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা—এলএলবি বিভাগের মাহাথি, ইংরেজি বিভাগের মেহেরাব ও আবুজর গিফারী—হাজারীপাড়া এলাকার কয়েকজনকে ডেকে এনে পারভেজের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ধারালো অস্ত্র ব্যবহৃত হয়, যা তার বুকে ও পিঠে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী মাহাথি, মেহেরাব ও আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচজন রয়েছেন।

পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার আদালতে হাজির করে তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন