সর্বশেষ

জাতীয়

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিধি আরও বাড়াচ্ছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ ৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য চালু করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আরও সম্প্রসারণের পথে।

অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরে এই কর্মসূচির আওতায় ৫৫ লাখ পরিবারকে কম দামে চাল দেওয়া হবে, যা বর্তমানে ৫০ লাখ পরিবার।

চাল দেওয়ার সময়সীমাও এক মাস বাড়ানো হচ্ছে। এতদিন পরিবারগুলো বছরে পাঁচ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পেতো, এখন থেকে তারা ছয় মাস এই সুবিধা পাবেন। তবে চালের দাম ও পরিমাণ (প্রতি মাসে ৩০ কেজি) অপরিবর্তিত থাকছে।

সরকার বলছে, কর্মসূচির এই সম্প্রসারণ গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। কারণ, মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে কাজের সংকট থাকে। সে সময়েই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে চাল সরবরাহ করা হয়।

২০১৬ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শেখ হাসিনা এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। শুরুতে ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে পাঁচ মাস চাল সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে এটি চালু হয়। করোনার সময় একবার উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৬২ লাখ ৫০ হাজার করা হলেও পরে আবার তা কমিয়ে আনা হয়।

রংপুরে বেশি, সিলেটে কম উপকারভোগী
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি উপকারভোগী রয়েছে রংপুর বিভাগে – প্রায় ৮ লাখ ৫৩ হাজার। এর মধ্যে শুধু রংপুর জেলাতেই ১ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ এই সুবিধা পাচ্ছে। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে উপকারভোগী সংখ্যা সবচেয়ে কম – ২ লাখ ৩৮ হাজার।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে টাঙ্গাইলে সবচেয়ে বেশি এবং মুন্সিগঞ্জে সবচেয়ে কম উপকারভোগী রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় ৬ লাখ, খুলনায় ৬ লাখ ৩১ হাজার, বরিশালে ৪ লাখ ৮৩ হাজার এবং রাজশাহীতে ৭ লাখ ৭২ হাজার পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছে।

পুষ্টি চাল কর্মসূচির আওতা বাড়ছে না
ভিন্ন একটি উদ্যোগ হিসেবে দেশের দরিদ্র নারীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’ (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি চালু রয়েছে ২০১৩ সাল থেকে। এই প্রকল্পে দেশের ১৭০টি উপজেলায় ১০ লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে বছরে ৩০ কেজি করে ভিটামিন ও খনিজ–সমৃদ্ধ চাল বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরে এই কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল। যদিও প্রতি বছর এর আওতা ১০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব মমতাজ আহমেদ জানান, "ভিডব্লিউবি কর্মসূচি চলবে, তবে এর সম্প্রসারণ নির্ভর করবে সার্বিক বাস্তবতার ওপর। দুই বছর পরপর নতুন তালিকা তৈরি করা হয়।"

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, "সংসদের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার ভিত্তিতে কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানো হতে পারে। আপাতত উপকারভোগী সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫ লাখ করা হচ্ছে এবং ছয় মাস চাল দেওয়া হবে।"

১৫৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন