আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করছে কক্সবাজার

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫ ৬:৩১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ প্রয়োজনীয় সব অবকাঠামো ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমস বিভাগ ও এয়ারলাইন অপারেটর কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বেবিচকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘জুলাই মাসেই কক্সবাজার থেকে স্বল্প পাল্লার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকব।’ এ লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২০২১ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ, নতুন টার্মিনাল নির্মাণ ও ২৪ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যেই সমুদ্রের ওপর নির্মিত ১,৭০০ ফুটসহ মোট ১০,৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের রানওয়ে প্রস্তুত হবে—যা হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে।
প্রথমদিকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বর্তমান টার্মিনাল থেকে পরিচালিত হবে। নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে সেখানে বড় আকারের উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে পারবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, নিরাপত্তা, আলো ও অবকাঠামোর সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। এদিকে গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
সরকারের লক্ষ্য কক্সবাজারকে ইন্দোনেশিয়ার বালির আদলে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি) মনে করছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে কক্সবাজার দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটন হাবে পরিণত হবে।
এদিকে, চীনের ইউনান প্রদেশ ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম-কুনমিং রুটে ফ্লাইট চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া নেপাল, ভুটান, উজবেকিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশের পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার হতে পারে সবচেয়ে কাছের সমুদ্রগন্তব্য।
টোয়াব সভাপতি রাফিউজ্জামান মনে করেন, ‘কক্সবাজার থেকে কাঠমান্ডু, থিম্পু ও কুনমিং রুটে ফ্লাইট চালু হলে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’ তবে তিনি বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারে বিনোদনমূলক অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হলে সরকারকে অবশ্যই রাত্রিকালীন বিনোদন এবং আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হোটেল-রিসোর্টে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
১২৬ বার পড়া হয়েছে