সাত মাস ধরে বন্ধ শাহিদাবাদ-নলিকাটা বর্ডার হাট, দুর্ভোগে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫ ৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার একমাত্র সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র শাহিদাবাদ-নলিকাটা বর্ডার হাটটি গত সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন হাটের কার্ডধারী ব্যবসায়ী এবং আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাটটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৪ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় শাহিদাবাদ-নলিকাটা বর্ডার হাট। প্রতি সপ্তাহের বুধবার হাটটি বসত। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এই হাট গড়ে তোলা হয়। শাহিদাবাদ (বাংলাদেশ) ও নলিকাটা (ভারত) সীমান্তের জিরো লাইনে হাটটি অবস্থিত।
তবে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের পতনের পর থেকে হাটটি বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের কার্ডধারী ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা তাদের স্বাভাবিক ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাটটি ঘিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির প্লাস্টিকসহ নানান ভোগ্যপণ্য সীমান্তের ওপারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, হাটবারে বিকেল ৪টার আগেই অধিকাংশ পণ্য শেষ হয়ে যেত। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা ছিল তুঙ্গে।
বর্ডার হাটের নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ কিলোমিটার এলাকার ভেতরের বাসিন্দারা কার্ডের মাধ্যমে হাটে পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন। কার্ডধারী ছাড়া অন্য কেউ অনুমতি ছাড়া হাটে প্রবেশ করতে পারেন না। বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় পক্ষের ২৫টি করে দোকান বরাদ্দ রয়েছে এবং ৫৪০ জন করে কার্ডধারী ক্রেতা অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সাত মাস ধরে হাট বন্ধ থাকায় আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।”
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বর্ডার হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল হাসেম বলেন, “এটি দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। হাট চালু হওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটটি পুনরায় চালু করে সীমান্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
১৪৮ বার পড়া হয়েছে