সর্বশেষ

অর্থনীতি

ভরা মৌসুমেও পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ: বাজারে সিন্ডিকেটের ছায়া

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ৯:০৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দেশের বিভিন্ন বাজারে ভরা মৌসুমেও হঠাৎ করে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম বেড়ে গেছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত।

রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ঈদের পর দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কয়েকদিন আগেও যেই পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো, এখন সেটি ৬৫-৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির উদ্দেশ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পেঁয়াজ কিনে তা বাজারে না ছাড়িয়ে অবৈধভাবে মজুত করছেন। তারা ভারত থেকে আমদানি বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা সরকারকে এ বার্তা দিতে চায় যে, ভারতের পেঁয়াজ ছাড়া দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

পাইকারি বাজার কাওরান বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪০-৪৫ টাকা। আর রমজানে সেটি ছিল মাত্র ৩০-৩৫ টাকা। খুচরা বাজারে আরও বেশি মূল্য গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকায়।

পাইকারি বিক্রেতারা জানান, সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং পরিকল্পিতভাবে জুলাইয়ের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার ওপরে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভরা মৌসুমে মজুতকরণ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, যার প্রভাব পড়ছে সরাসরি খুচরা বাজারে।

যাত্রাবাড়ীর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা মো. শামছুজ্জামান তুর বলেন, “রমজানে কিছুটা স্বস্তি ছিল বাজারে। কিন্তু ঈদের পরপরই আবারও বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।”

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, “সরকারের কাছে অবশ্যই তথ্য আছে কারা পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যারা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনের কারণ অনুসন্ধানে তিন স্তরে তদারকি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রমজানে যেভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল, তেমন নজরদারি এখন চালানো না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সরকারের উচিত হবে সিন্ডিকেট ভেঙে সাধারণ জনগণের স্বস্তি ফিরিয়ে আনা।

১২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন