বান্দরবানে মৈত্রী জল বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব: পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈচিত্র্য উদযাপন

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বান্দরবান উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে রাজারমাঠে আয়োজন করা হয় ‘মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, "নৃ-গোষ্ঠী বলার আগে আমরা ‘ক্ষুদ্র’ শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না।"
তিনি আরও বলেন, “দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বান্দরবানে আরও বেশি করে আসা উচিত। এখানকার ১২টি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক সংমিশ্রণ ও বৈচিত্র্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।”
চাঁদাবাজি বন্ধ করে পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অগ্রগতির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “এভাবেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।”
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চারজন বিদেশি প্রতিনিধি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি উপভোগ করতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএসএম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার এবং উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মারমাসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
গত ১৩ এপ্রিল শুরু হওয়া মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের শেষ দিনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। পুরনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেন অংশগ্রহণকারীরা।
১২টি নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি শিল্পীদের লোকজ সংগীত, নৃত্য এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আয়োজক কমিটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, আগামী বছর এই উৎসব আরও জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হবে।
১০৭ বার পড়া হয়েছে