বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে: পাকিস্তান

শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ বছরের বিরতির পর এই বৈঠকটি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং পাকিস্তান থেকে পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
এসময় দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি উভয় দেশের অভিন্ন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা ও লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় উভয় দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো দ্রুত চূড়ান্তকরণ, নিয়মিত সংলাপের পাশাপাশি বাণিজ্য, কৃষি ও শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুযোগের প্রস্তাব দিয়েছে, আর বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করেছে।
ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণে অগ্রগতির ওপর উভয় পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌযান চলাচলের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। ক্রীড়া, গণমাধ্যম এবং সংস্কৃতিতে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তান জানিয়েছে যে, তারা সার্কের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে মত দিয়েছে এবং কাশ্মীর ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দাও করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাহ্যিক চাপমুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও তুলে ধরেছে।
অবশেষে, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
১২০ বার পড়া হয়েছে