পাটুরিয়া ঘাটে 'জিপি'র নামে চাঁদাবাজি: পরিবহন মালিকদের ক্ষোভ

বৃহস্পতিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে 'জিপি'র নামে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে পরিবহন মালিক ও ঘাট কর্তৃপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, নীলাচল পরিবহন প্রতিদিন তাদের বাসগুলো থেকে ২২০০ টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এই বাড়তি খরচের বোঝা গিয়ে পড়ছে যাত্রীদের ওপরও।
বর্তমানে ঘাটে মূলত তিনটি পরিবহন সংস্থা—নীলাচল, সেলফি ও পদ্মা প্লাস—চলাচল করে। এর মধ্যে চিটাগং রোডে নিয়মিতভাবে একমাত্র নীলাচল পরিবহনই যাতায়াত করে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি বাসকে পাটুরিয়া, উথলী, বরংগাইল, মানিকগঞ্জ, গাবতলী ও চিটাগং রোডে ভিন্ন ভিন্ন হারে টাকা দিতে হচ্ছে ‘জিপি’র নামে।
বহু বাস মালিক অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর কিছুদিন চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও এখন তা আবারও শুরু হয়েছে এবং আগের তুলনায় এখন আরও বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিন বাস পরিচালনায় তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নীলাচল পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার সরোয়ার ও রোড ইনচার্জ সুমন। তারা দাবি করেন, কোনো চাঁদাবাজি হচ্ছে না, বরং পরিবহন পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতেই কিছু অর্থ নেওয়া হয়।
ঘাট পরিচালনাকারী মো. জসিম খান বলেন, “কিছু অর্থ কাটা হলেও সেটি নিয়ে মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এদিকে, শিবালয় মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন বলেন, “আমি নীলাচলের মালিক নই এবং ঘাটে কীভাবে টাকা আদায় হচ্ছে, সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।”
এই পরিস্থিতিতে শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শিবালয়ের ইউএনও মো. জাকির হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া রোধে প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, “ঘাটে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না, প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।”
৭১১ বার পড়া হয়েছে