সর্বশেষ

অর্থনীতি

টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাস ধরে ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বাধার মুখে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গত তিন মাস ধরে দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।

যদিও সীমিত পরিসরে কিছু পণ্য রাখাইনের মংডু শহর থেকে আসছে, তবে বড় পরিসরে আমদানি কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

টেকনাফ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহদুর বলেন, "টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। কিন্তু মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ, বিশেষ করে আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান লড়াইয়ের কারণে সীমান্ত বাণিজ্যে বড় ধাক্কা লেগেছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।"

তিনি জানান, সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি ইয়াঙ্গুন থেকে ছেড়ে আসা তিনটি পণ্যবাহী জাহাজ রাখাইনের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে আরাকান আর্মি আটকে দেয়। এরপর থেকেই ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য আসা বন্ধ হয়ে যায়।

তবে রাখাইনের মংডু শহর থেকে কাঠসহ কিছু পণ্য সীমিত আকারে আমদানি হচ্ছে, যেখানে বড় কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে আলু ও পানি জাতীয় কিছু পণ্য রপ্তানি হলেও, আমদানির ভাটা পড়েছে।

এহেতাশামুল হক আরও বলেন, "আমরা মিয়ানমার সরকারের নির্ধারিত ট্যাক্স দিয়ে পণ্য আনছি। কিন্তু এখন আরাকান আর্মিও কর দাবি করছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন একটি সংকট। এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।"

তিনি জানান, শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর তলদেশে চরের কারণে জাহাজ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ফলে সেন্টমার্টিন ঘুরে জাহাজ ঢোকানোর পথ খোলা থাকলে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্ত এড়ানো সম্ভব হতে পারে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল উদ্দিন জানান, গত তিন মাসে ইয়াঙ্গুন থেকে কোনো পণ্য আসেনি। রাখাইন রাজ্যের বড় একটি অংশ এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকায় বাণিজ্যে স্থবিরতা এসেছে।

বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। বন্দরের শ্রমিক আলী হোসাইন বলেন, "বাণিজ্য কমে যাওয়ায় আমাদের কাজও কমেছে। কখনো কাজ থাকে, কখনো থাকে না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।" চা বিক্রেতা রহমত উল্লাহ বলেন, "যেহেতু বন্দরে লোকজন কমে গেছে, আমাদেরও বিক্রি কমে গেছে। আগে যা আয় করতাম, এখন তার অর্ধেকও হয় না।"

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা দ্রুত সীমান্ত বাণিজ্য স্বাভাবিক করার জন্য দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

১২৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন