সর্বশেষ

শিক্ষা

রেলপথ ব্লকেড ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ২:০০ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ছয় দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও গুলি ছোড়ার প্রতিবাদে সারাদেশব্যাপী রেলপথ অবরোধ ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচির সমাপ্তিতে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর পক্ষে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী।

তিনি জানান, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বৃহস্পতিবার সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রেলপথ অবরোধ করা হবে।” তবে সময় ও স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে জানানো হবে বলে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন।

আন্দোলনের পেছনের প্রেক্ষাপট
বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশের জেলা ও উপজেলাতেও চলে বিক্ষোভ।

বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শোয়াইব আহমাদ খান। তিনি পদোন্নতিতে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ জন্য কোনো কোটা থাকবে না বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া অন্যান্য দাবিগুলোর বাস্তবায়ন নিয়েও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।

তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, মৌখিক আশ্বাস নয়—সবকিছু লিখিতভাবে জানাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও সরকারের বক্তব্য
আন্দোলনের অন্যতম নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, “ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেও প্রিন্সিপালের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই—আমাদের অবমূল্যায়ন করবেন না। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।”

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আন্দোলন করছেন। তিনি বলেন, “পদোন্নতিতে কোনো কোটা থাকবে না—এটা পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে। অন্য দাবিগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।”

সচিব আরও জানান, “কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের বড় পরিসরে পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।”

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি-
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে

২. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি থাকতে হবে।

৩. ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

৪. কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য) সব বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।

৫. কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন