সর্বশেষ

রাজনীতি

সম্পত্তি ক্রোক করার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক মনে করেন না সাকিব আল হাসান

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:৪২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত সাকিব আল হাসান, তবে তার পরিচিতি ক্রিকেটের বাইরে রাজনীতিতে এবং ব্যবসায়ও রয়েছে।

গত বছর আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর থেকে তিনি বাংলাদেশে আসতে পারেননি এবং তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। সম্প্রতি, তিনি একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

ক্রিকেট ছাড়াও অন্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, “ক্রিকেটের বাইরেও অনেক কিছু রয়েছে, তবে আমি সেভাবে ব্যবসায় মনোযোগ দিতে পারিনি। বর্তমানে আমি দুটি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত—একটি কাঁকড়ার খামার এবং অন্যটি শেয়ার বাজার।”

সাকিবের দাবি, করোনার আগে তার কাঁকড়ার ব্যবসায় সাফল্য ছিল, কিন্তু মহামারী শুরু হওয়ার পর খামারটির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং তিনি অনেক লোকসানে পড়েন। তিনি উল্লেখ করেন, “বর্তমানে আমি খামারটির ৩৫ শতাংশের মালিক, বাকি ৬৫ শতাংশ অন্যদের। কিন্তু সবকিছুর দায় আমার উপর এড়ানো হচ্ছে, কারণ আমার নামের ফলে সবাই আমাকে চেনে।”

তিনি আরও জানান, “ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার কারণে আমার সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। লোকে শত কোটি টাকা বকেয়া রাখলেও, আমার মাত্র সাড়ে ৪ কোটি টাকার জন্য আমাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যা স্বাভাবিক মনে করি না।”

সাকিবের সম্পত্তি গত মার্চে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে, যেহেতু তিনি ঋণ পরিশোধের নোটিশ পেয়েও টাকা দেননি এবং চেক প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

তিনি মনে করেন, “আমি কোনো অপরাধ করিনি। পরিস্থিতি তখন ভিন্ন ছিল। এখন যখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক, তখন মানুষের বুঝতে পারা উচিত যে, একটি ছবির জন্য কারও এমন শাস্তি হওয়া উচিত নয়।”

এছাড়া, শেয়ারবাজারের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাকিব জানান, গত নভেম্বর মাসে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমি কোনো কারসাজির সঙ্গে জড়িত, তাহলে আমার সবকিছু দিয়ে দেব। আমি জানি না, শেয়ারবাজারে কারসাজি কিভাবে করতে হয়।”

সাকিব আরও বলেন, “আমি কেবল একজনকে টাকা দিয়েছিলাম বিনিয়োগের জন্য, কিন্তু সে পুরো টাকাই লোকসানে দিয়েছে। যদি কেউ চান, আমি শেয়ারবাজার থেকে লাভ পেয়েছি, তা প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি খুশি মনে আমার সব কিছু দিয়ে দেব।”

তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি থেকে পালিয়ে থাকতে চাই না এবং সবকিছু সমাধানের জন্য প্রস্তুত। আমি বিশ্বাস করি, আমার জন্য একটি সুযোগ প্রাপ্য। যদি তদন্তের জন্য আমাকে দেশে আসতে হয়, আমি খুশিমনে আসতে চাই। আমি কিছুই লুকাচ্ছি না।”

১৩০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন