সর্বশেষ

জাতীয়

বাঙালির প্রাণের উৎসবে বর্ণিল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তার বলয়

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলা নববর্ষ—বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম প্রাণের উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, যার প্রতিপাদ্য ছিল: “নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”।

উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি এবং কৌশলগত নিরাপত্তা বলয়ের ফলে নগরবাসী নিশ্চিন্তে আনন্দ-উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও সক্রিয় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ এলাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জারি রয়েছে। বাংলামোটর মোড় থেকে শাহবাগমুখী যানবাহনে ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে, যাতে বড় যানবাহন প্রবেশ করতে না পারে। নেভি গলির মুখে বসানো হয়েছে আরেকটি ব্যারিকেড, যেখানে ছোট যানবাহনের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ফলে শাহবাগ এলাকায় প্রবেশের জন্য সবাইকে হেঁটে যেতে হচ্ছে।

শাহবাগ মোড় পুরোপুরি ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা, যাতে শোভাযাত্রায় নির্ধারিত পথ ব্যতীত কেউ প্রবেশ করতে না পারে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল জানান, ঢাকাবাসী নিরাপত্তাবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপন করছে। তিনি বলেন, “১৮ হাজার ডিএমপি সদস্যসহ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, সাইবার ও গোয়েন্দা ইউনিট সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।”

এদিকে, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী পূর্বেই জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোনও নির্দিষ্ট নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবুও সকল সংস্থার সমন্বয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রয়েছে।

এবারের শোভাযাত্রায় ২১টি মনোগ্রাহী মোটিফ যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, শান্তির পায়রা, টাইপোগ্রাফিতে ৩৬ জুলাই, ঐতিহাসিক পালকি, এবং ২০২২ সালের জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের স্মৃতিতে পানির বোতল অন্যতম বড় আকর্ষণ।

বিশেষভাবে সংহতি জানানো হয়েছে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি, যেখানে একটি তরমুজের মোটিফ রাজনৈতিক বার্তাবাহী প্রতীক হিসেবে স্থান পেয়েছে। এছাড়াও মুঘল ও সুলতানি আমলের মুখোশ, রঙিন চরকি, বাঘের মাথা, মাছ ধরার পলো ও চাই, তালপাতার সেপাই, পাখা, মাথাল, লাঙল প্রভৃতি ঐতিহ্যবাহী উপকরণে শোভাযাত্রাটি হয়ে উঠেছে বর্ণিল ও ঐতিহ্যবাহী।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ রঙিন পোশাকে সেজে চারুকলার সামনের প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছেন উৎসবমুখর পরিবেশে।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন