সর্বশেষ

জাতীয়

চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে এবারও অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের হওয়া ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

এ বছরের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

চারুকলার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে আবার চারুকলায় ফিরে আসে। এতে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বিশেষ দৃষ্টিনন্দন এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিদেশি অতিথিরা। শোভাযাত্রায় ছিল সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি ও সাতটি ছোট মোটিফ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তরমুজের ফালি, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা এবং পালকি।

তবে উৎসবের ঠিক আগ মুহূর্তে ঘটে যায় এক দুঃখজনক ঘটনা। গত শনিবার ভোরে চারুকলার ভেতরে রাখা দুটি মোটিফে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায় ২০ ফুট উচ্চতার ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ নামের মোটিফটি। ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফটিরও এক ডানা ও লেজের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ মোটিফটি তৈরি হয়েছিল বাঁশ ও বেত দিয়ে। এতে এক বিশালাকৃতির মুখাবয়ব, দাঁতাল মুখ, শিং, বড় নাক ও আতঙ্কভরা চোখ ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। অনেকেই এটিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ভাবার সুযোগ নিয়েছেন।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক কালো টি-শার্ট ও বাদামি প্যান্ট পরে চারুকলার দক্ষিণ গেট টপকে ভেতরে ঢুকে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর দ্রুত তিনি সরে পড়েন।

এই নাশকতার পরও থেমে থাকেনি প্রস্তুতি। চারুকলার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা রাতেই নতুন করে মোটিফ তৈরির কাজ শুরু করেন। থার্মোকল বা সোলা দিয়ে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুনরায় গড়ে তোলা হয়। অন্য মোটিফগুলোর কাজও রবিবার রাতেই সম্পন্ন করা হয়।

১০৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন