সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে মিত্রদের পাশে চান ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৬:২০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ক্ষমতায় ফিরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে পুনর্গঠনের বদলে একরকম ছিন্নই করে ফেলেছেন। তার প্রশাসনের 'যুক্তরাষ্ট্র প্রথম' নীতির ফলে বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করে তিনি কার্যত মিত্রশূন্য হয়ে পড়েছেন।

তবে চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এখন সেই পুরোনো মিত্রদেরই পাশে চাইছেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বহু দীর্ঘদিনের মিত্র দেশকে অবহেলার শিকার হতে হয়েছে। তিনি কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক বসিয়েছেন, এমনকি কানাডা দখলের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। তার এই একক আচরণ বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থির করে তুলেছে। তবে এখন চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত জয় পেতে গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন মিত্রদের সমর্থনের খোঁজে রয়েছে।

চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে ওয়াশিংটন একতরফাভাবে শুল্ক বাড়িয়ে গেছে, যার সর্বোচ্চ হার ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। পাল্টা জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করতে যুক্তরাষ্ট্র স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে পাল্টা শুল্কের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানির জন্য স্বস্তির খবর।

বিশ্ব বাণিজ্যে চীনের অংশগ্রহণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার যুক্তরাষ্ট্র চায়, তার মিত্ররা এক ছাতার নিচে আসুক। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো শিগগিরই বাণিজ্য আলোচনায় বসবে। তার মতে, ‘চীন এখন চারদিক থেকে চাপে রয়েছে’ এবং এই চাপে রাখতেই প্রয়োজন যৌথ পদক্ষেপ।

তবে প্রশ্ন উঠছে—যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বন্ধু ও শত্রুদের এক চোখে দেখছে, তাতে কি মিত্ররা এই আহ্বানে সাড়া দেবে? হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিটের জবাব, "আমাদের মিত্ররা স্পষ্ট করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের বাজারকে প্রয়োজন মনে করে।"

তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা এখন বড় প্রশ্ন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জেসন ফারম্যান বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র এখন কারো কাছেই বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার নয়। আমি জানি না কীভাবে আবার নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠব।"

ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে ইউরোপসহ অনেক দেশ অস্বস্তি বোধ করছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স পর্যন্ত ইউরোপ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিও সতর্ক করে বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক শেষের পথে।

সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র তার পুরোনো মিত্রদের যতটা বিচ্ছিন্ন করেছে, এখন তা কতটা পুনরুদ্ধারযোগ্য, সেটিই বড় প্রশ্ন।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন