সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৫:৫৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ এলাকায় শিগগিরই আরও ব্যাপক সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে কার্তজ জানান, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ‘মোরাগ এক্সিস’ নামের সাবেক একটি ইহুদি বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা খান ইউনিস এবং রাফা শহরের মধ্যবর্তী এলাকা। এর ফলে কার্যত গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে খান ইউনিস থেকে।

ইতোমধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনিস এবং আশপাশের এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করছে, গাজা থেকে চালানো আকাশপথের হামলার জবাবে তারা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। তবে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস এসব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত ১৮ মার্চ দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় আবারও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে আরও বড় এলাকা দখলে নেওয়ার পাশাপাশি, হাজার হাজার মানুষকে নতুন করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "এটি যুদ্ধের শেষ অধ্যায়। আমাদের লক্ষ্য হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা, জিম্মিদের উদ্ধার করা এবং যুদ্ধের ইতি টানা। সে লক্ষ্যে গাজার অধিকাংশ এলাকায় অভিযান জোরদার করা হবে। যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থানরত সাধারণ মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে হবে।"

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হঠাৎ হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। শুধু যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ১,৫৬৩ জন।

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন