ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আবারও বৈঠকের সিদ্ধান্ত, ব্যর্থ হলে হামলার সম্ভাবনা

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৫:০৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম দফার পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে ওমানের মধ্যস্থতায়।
শনিবার (১২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ বৈঠককে দুই দেশই ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। আলোচনার ধারাবাহিকতায় আগামী সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয়পক্ষ। সেটি ইরানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আলোচনা ব্যর্থ হলেও হামলা করে বসতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান তাদের আগের কঠোর অবস্থান থেকে কিছুটা নমনীয় হয়েছে। আগে যেসব শর্তে তারা মার্কিনিদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি ছিল না, এখন তা থেকে সরে এসেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি’ এবং সামরিক হুমকি হয়তো তেহরানকে পরোক্ষ আলোচনায় রাজি করিয়েছে।
তবে এখনো সরাসরি আলোচনা থেকে বিরত রয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বারবার সরাসরি আলোচনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাই ওমানের মাধ্যমে চলছে কূটনৈতিক যোগাযোগ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে এবং দুই পক্ষ একটি সম্ভাব্য চুক্তির ভিত্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে। তার ভাষায়, ‘আমরা আলোচনার জন্য আলোচনায় বসতে চাই না, স্বল্পমেয়াদে একটি কার্যকর সমঝোতায় পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।’
এদিকে, মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভেন উইটকফ এবং ওমানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আনা এসক্রোগিমা। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই আলোচনা পারস্পরিক লাভজনক ফলাফলের দিকে এক ধাপ অগ্রগতি।
আলোচনার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘বৈঠক ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে, তবে চূড়ান্ত কিছু না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না।’
তেহরান আগেই জানিয়েছে, তারা যুদ্ধ চায় না এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সম্মান নিশ্চিত করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘কূটনীতি মানেই আত্মসমর্পণ নয়, বরং সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জনের পথ।’
পরবর্তী বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সমঝোতা কতটা সম্ভব, তা নির্ভর করছে দুই দেশের বাস্তব অবস্থান ও পারস্পরিক ছাড় দেওয়ার মনোভাবের ওপর।
১১৭ বার পড়া হয়েছে