বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় বিনিয়োগ করবে চীন

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৫:০১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে এক হাজার শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল।
প্রস্তাবিত হাসপাতালের নাম রাখা হয়েছে ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল’।
সূত্র জানায়, ঢাকার মিরপুর, উত্তরা বা ধামরাই এলাকায় এই জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের চিন্তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, উত্তরবঙ্গের রংপুর, দিনাজপুর অথবা নীলফামারীর কোনো জেলায় টারসিয়ারি (উচ্চতর বিশেষায়িত) হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নীলফামারীতে সম্ভাব্য জমি পরিদর্শন করেছেন। ৫০০-৭০০ শয্যার এই হাসপাতালের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ একর ঝামেলামুক্ত জমি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনটি স্বাস্থ্য প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি জেনারেল হাসপাতাল, একটি টারসিয়ারি হাসপাতাল এবং জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনে আহতদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র। পুনর্বাসন কেন্দ্রটি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানান, চীন সরকার উপহার হিসেবে যে হাসপাতালটি নির্মাণ করবে, সেটি রংপুরে স্থাপনের সম্ভাবনা বেশি। পাশাপাশি, চীনের বেসরকারি খাত থেকেও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খুব শিগগিরই চীন থেকে ২০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে এবং তখন প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ছাড়া, রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ইতিমধ্যে দেশে পৌঁছে গেছে। চীন আরও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে চীনের দীর্ঘদিনের ভূমিকা রয়েছে। দেশটির কাছ থেকেই বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। পাশাপাশি, মেডিকেল সরঞ্জাম আমদানিতেও চীন অন্যতম প্রধান উৎস।
অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও সংস্কার প্রকল্পেও চীনের অর্থায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, যা দ্রুত অনুমোদনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চীনের এ বিনিয়োগ উদ্যোগ শুধু অবকাঠামো নয়, চিকিৎসা প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়নেও বড় অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১২০ বার পড়া হয়েছে