মিয়ানমারে আবারও ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভয়াবহ একাধিক ভূমিকম্পের পর এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি মিয়ানমার। দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কার্যক্রম। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থার মধ্যেই দেশটিতে দফায় দফায় ভূকম্পন অনুভূত হচ্ছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে মিয়ানমারে আবারও ৫ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (EMSC) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয়ের ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মেইকটিলা শহরের ৩৪ কিলোমিটার দূরে। কম্পনের গভীরতা ছিল প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২১.৭৫ মাইল)। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তথ্যগুলো এখনো প্রাথমিক এবং মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (USGS) সঙ্গে সমন্বয় করে বিস্তারিত বিশ্লেষণ চলছে।
এর আগে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৮টা ২ মিনিটে ৪ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। সেই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। পরবর্তী সময়ে একাধিক আফটারশক অনুভূত হয়েছে বলে জানায় জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (NCS)।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (USGS) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪। এর কেন্দ্র ছিল মান্দালয়ের ১৭ কিলোমিটার দূরে, ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এই ভূমিকম্পের প্রভাব শুধু মিয়ানমারে সীমাবদ্ধ ছিল না। কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়াতেও।
দেশটিতে এখনো উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে।
১২৪ বার পড়া হয়েছে