কারিগরি সমস্যায় বন্ধ আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ, লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:২২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কারিগরি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
দুই ইউনিটের এই কেন্দ্রটির প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, ৮ এপ্রিল প্রথম ইউনিট বন্ধ হয়ে যায় এবং দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন বন্ধ হয় শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে। ফলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
পিজিসিবি ও পিডিবির তিনজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আদানির কেন্দ্র থেকে একসময় সর্বোচ্চ ১,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল। ৮ এপ্রিলের পরেও প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত ছিল, তবে বর্তমানে কেন্দ্রটি থেকে কোনো বিদ্যুৎ আসছে না। শনিবার সন্ধ্যায় একটি ইউনিট পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় শনিবার চাহিদা কিছুটা কম ছিল, দুপুর একটায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩,৫০০ মেগাওয়াট, যার মধ্যে ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। তবে আদানির কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকলে রবিবার থেকে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে। এ অবস্থায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে পিডিবি।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারিগরি ত্রুটি দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করছে। একসঙ্গে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদনও বাড়ানো হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের এপ্রিল এবং দ্বিতীয় ইউনিট জুন মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। পিডিবি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি করে। বর্তমানে এই চুক্তি পর্যালোচনায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি কাজ করছে। কেন্দ্রের কয়লার দাম নিয়েও আদানি ও পিডিবির মধ্যে বিরোধ রয়েছে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রভাব ফেলছে বলে জানা গেছে।
১১৭ বার পড়া হয়েছে