পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের কৃতজ্ঞতা

বৃহস্পতিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নতুন করে আরোপিত ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় আপনাকে ধন্যবাদ, মিস্টার প্রেসিডেন্ট। আপনার বাণিজ্য নীতিকে সহযোগিতা করতে আমরা আপনার প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।"
এর আগে, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করে, যা দেশটির অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের প্রতিযোগিতায় বড় ধাক্কা সৃষ্টি করতে পারত।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ১৮ শতাংশ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়ে আসছে। নতুন শুল্ক কার্যকর হলে রপ্তানি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেত।
এই শুল্ক পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে দুটি চিঠি পাঠানো হবে। এর পরদিনই, ৭ এপ্রিল, ড. ইউনূস একটি চিঠি পাঠিয়ে শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ জানান এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিকে সমর্থন দিতে বাংলাদেশ আমেরিকান রপ্তানি বাড়াতে প্রস্তুত। তিনি জানান, ওয়াশিংটনে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে এবং বাংলাদেশের বাজারে মার্কিন পণ্যের প্রবেশ আরও সহজ করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিশেষভাবে, মার্কিন কৃষিপণ্য যেমন তুলা, গম, সয়াবিন ও ভুট্টার আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত গুদামজাতকরণ সুবিধা চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানিতে সহায়ক হবে।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর পথও খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে আমেরিকান বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।
ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী তিন মাসে উল্লিখিত কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
১৩৫ বার পড়া হয়েছে