আজ থেকে শুরু এসএসসি পরীক্ষা, অংশ নিচ্ছে ১৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী

বৃহস্পতিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২৫ ৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
চলতি বছর মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
প্রথম দিন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা প্রথম পত্র, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ (দাখিল ও ভোকেশনাল) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষাই শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়।
সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। তিনি বলেন, “প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ গুজব ছড়ালে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড থেকে ১৪টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ, প্রবেশপত্র সঙ্গে রাখা, নির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া এবং সঠিকভাবে ওএমআর ফরম পূরণ করা। এছাড়া মোবাইল ফোনসহ নিষিদ্ধ ডিভাইস বহন না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন এসএমএসের মাধ্যমে করা যাবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতাও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা:
১. এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে (৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে) অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে।
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে। তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন পূর্বে সংগ্রহ করবে।
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না।
৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করতে হবে।
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
১৪০ বার পড়া হয়েছে