ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরব দেশগুলোর জটিল অবস্থান

বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:২৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনিদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন দিলেও বিভিন্ন আরব দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে জটিল হয়ে উঠেছে।
জর্ডান:
১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নেন জর্ডানে। তবে ১৯৭০ সালে পিএলও ও জর্ডানের মধ্যে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফিলিস্তিনিদের লেবাননে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে।
লেবানন:
পিএলও-র লেবাননে প্রবেশের পর ১৯৭৫ সালে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ১৯৮২ সালে সাবরা ও শাতিলায় শত শত ফিলিস্তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটে। যদিও লেবানন সরকার তাদের অধিকারের পক্ষে, তবু নাগরিকত্ব দেয় না।
মিসর:
ইসরাইল-হামাস সংঘাতে মধ্যস্থতা করে আসছে মিসর। যদিও হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো, তবু গাজা সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে। ১৯৭৯ সালে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই):
২০২০ সালে ইসরাইলের সঙ্গে আব্রাহাম অ্যাকর্ডে স্বাক্ষর করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ইউএই। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্ত ছাড়াই এ চুক্তি স্বাক্ষর সমালোচিত হয়।
সুদান:
১৯৬৭ সালে ‘থ্রি নো’ নীতির ঘোষক হলেও ২০২০ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোয় সুদান। এর বদলে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ পৃষ্ঠপোষকের তালিকা থেকে দেশটিকে বাদ দেয়।
কুয়েত:
১৯৯০ সালে ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের সময় পিএলও প্রধান ইয়াসির আরাফাতের অবস্থানের কারণে কুয়েত-ফিলিস্তিন সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে দেশছাড়া করা হয়।
ইরাক:
সাদ্দাম হোসেন আমলে ফিলিস্তিনিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলেও ২০০৩ সালের পর শিয়াপন্থী গোষ্ঠীগুলোর নির্যাতনের মুখে পড়ে তারা।
১২১ বার পড়া হয়েছে