ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে, ইসরায়েলি পণ্য দোকানে না রাখার হুমকী

মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ চলতে থাকলেও, এর মধ্যে কিছু দুর্বৃত্ত দেশের বিভিন্ন শহরে বাটা, কেএফসি এবং অন্যান্য দোকান ও রেস্তোরাঁয় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি বা রাখা নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন দোকান ও সুপারশপে হুমকি দিয়ে আসছে, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া, কিছু দোকান এবং সুপারশপগুলোতে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি না করার জন্য বেশ কিছু লিফলেট দেওয়া হচ্ছে, যদিও এসব পণ্য আসলেই ইসরায়েলি কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাটা তাদের ফেসবুক পেজে স্পষ্ট করেছে যে তারা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং চলমান ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
ঢাকার ওয়ারী এলাকার একটি সুপারশপের ম্যানেজার জানান, গতকাল (৮ এপ্রিল) কিছু টিনএজ ছেলে এসে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি বন্ধ করার জন্য তাদের হুমকি দিয়েছে এবং এসব পণ্য সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক ব্যবসায়ী পুলিশকে জানাতে চাচ্ছেন না, তবে কিছু দোকান ও সুপারশপ ইতোমধ্যে তাদের পণ্য সরিয়ে ফেলেছে।
এদিকে, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে ভিডিও ফুটেজ এবং স্থিরচিত্র পর্যালোচনা চলছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং যারা এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতসব ঘটনার মধ্যে, দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকলেও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চাচ্ছেন, তবে এসব হামলা ও ভাঙচুর তাদের ব্যবসা চালানো কঠিন করে তুলেছে।
১৩০ বার পড়া হয়েছে