বাংলাদেশের পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অযৌক্তিক: পল ক্রুগম্যান

মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:২৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের পোশাকসহ মিত্র ও বন্ধুপ্রতিম দেশের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান।
তাঁর মতে, এতে মার্কিন জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা বা উৎপাদন খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে না।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রুগম্যান বলেন, সরবরাহচেইনের স্থিতিশীলতার জন্য কানাডা, মেক্সিকো, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বজায় রাখা যুক্তিযুক্ত। “শুধু যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে এই দেশগুলোর ওপর শুল্ক বসানো বাস্তবসম্মত নয়,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য–ঘাটতি কমাতে উচ্চ হারে শুল্ক বসানো তেমন কার্যকর নয়। "শুল্ক আরোপ করলেই ঘাটতি কমে যাবে—এই ধারণা ভুল। ঘাটতি কমাতে চাইলে বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে হয়, যা অবাস্তব," যোগ করেন ক্রুগম্যান।
ক্রুগম্যানের মতে, উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার প্রধান কারণ বাণিজ্য–ঘাটতি নয়, বরং প্রযুক্তি ও অটোমেশন। একসময় যুক্তরাষ্ট্রে ৩০% কর্মসংস্থান ছিল এই খাতে, এখন তা ১০–১২% এর মধ্যে।
তিনি মার্কিন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ রবার্ট লাইথিজারের কথা টেনে বলেন, "লাইথিজার ট্রাম্প প্রশাসনে থাকলে হয়তো বলতেন, বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা ঠিক নয়।"
শুল্ক নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে ক্রুগম্যান বলেন, “যে প্রক্রিয়ায় শুল্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে, তা আমি কখনোই আমার ছাত্রদের পড়াইনি। এটা অবাস্তব ও অপ্রয়োগযোগ্য।”
যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের রিসিপ্রোকাল বাণিজ্যনীতি এবং ১৯৩৪ সালের আইন অনুসারে শুল্ক হ্রাস করা হয় পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে। সেই প্রেক্ষাপটেও বর্তমান শুল্ক নীতি প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
১২৯ বার পড়া হয়েছে