জাতীয় নির্বাচনের জন্য আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ না করেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশন জানিয়েছে, খসড়াটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন সংক্রান্ত ছয়টি বিষয়ে গঠিত একটি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, “আচরণবিধির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। এটি শিগগিরই কমিশনে উপস্থাপন করা হবে এবং অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর প্রায় সবই খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি একটি ‘চমৎকার আচরণবিধি’ হবে।”
আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টিও খসড়ায় স্থান পেয়েছে।
তিনি বলেন, “নির্বাচনি ব্যয় সীমিত রাখা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করাই মূল লক্ষ্য।”
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়নি কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা ভালো প্রশ্ন। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বসব। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, একটি প্রিন্টিং ত্রুটির কারণে বিষয়টি এখনও মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে নতুন সীমানা অনুযায়ী নির্বাচন হবে, না হলে বর্তমান আইনের ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামের একটি দলের রিটের প্রেক্ষিতে কেবল তাদের ক্ষেত্রে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। অন্য দলগুলোর নিবন্ধনে কোনো বাধা নেই।”
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন সময়মতোই হবে। এখন যেসব সভা হচ্ছে, সেগুলোই পরিকল্পনার অংশ।”
১১৬ বার পড়া হয়েছে