সর্বশেষ

অর্থনীতি

রপ্তানি খাতে উদ্বেগ, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয়াদেশ স্থগিত হওয়া শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫ ৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ বা তার বেশি রাজস্ব নিয়ে আসে, বর্তমানে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র হল বাংলাদেশের পোষাক রপ্তানির প্রধান বাজার, সেখানে পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২৩–২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পোশাকের ১৮ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে যায়, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ক্রয়াদেশ স্থগিত করার ঘোষণা আসছে। উদাহরণস্বরূপ, উইকিটেক্স–বিডি নামে একটি বায়িং হাউস গতকাল তিন লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ স্থগিতের তথ্য দিয়েছে। সিইও এ কে এম সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দাম কমাতে বলেছে, কারণ উক্ত পণ্যের মূল ক্রেতা বাড়তি দাম দিতে প্রস্তুত নয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) নেতারা জানিয়েছেন, অধিকাংশ বায়িং হাউস প্রতি মাসে বড় পরিমাণ পোশাক তৈরির জন্য অর্ডার নিয়ে থাকে, তবে পাল্টা শুল্কের কারণে কষ্ট কাটাতে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মূল্যছাড়ের দাবি তুলছে। প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর গড়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশি পণ্যের জন্য ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা দেশের প্রতিযোগী দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশি।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক জানিয়েছেন, ওয়ালমার্ট এবং গ্যাপ বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের হার ৩৭ শতাংশ শুল্ক মেনে নিতে বলছে, যা রপ্তানিকারকদের জন্য মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি করেছে।

এদিকে, চামড়া পণ্য রপ্তাকারক এসেন্সর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টস তিন লাখ মার্কিন ডলারের চামড়ার ব্যাগের ক্রয়াদেশও স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পাল্টা ট্যারিফ নিয়ে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছে এবং দাম কমানোর চাপ দিচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক ও চামড়া খাতের রপ্তানিকারকরা আশা করছেন, আগামী দিনে এই সংকটের অবসান হবে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। তবে বর্তমান সংকট বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

১৬১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন