সর্বশেষ

অর্থনীতি

পাল্টা শুল্কে বাংলাদেশের ৯৫৭ রপ্তানিকারকদের নতুন সংকট

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫ ৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে বিশ্ববাণিজ্য এখন অস্থির অবস্থায়। এতে বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।

নতুন শুল্কের ফলে পণ্যের চাহিদা কমে যেতে পারে, যা দেশের তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ৭,৫৬১টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ২১২টি দেশে পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭৬৬ কোটি ডলারের পণ্য। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২,৩২৬টি রপ্তানিকারকের মধ্যে ৯৫৭টি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির ৩৭ শতাংশের উপর নির্ভরশীল। পাল্টা শুল্কের কারণে তাদের ব্যবসায় বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, ৯৫৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮০টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করে। তাদের সম্মিলিত রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ৩৫ কোটি ডলার, যা উদ্বেগজনক। এছাড়াও, ২৩৬টি প্রতিষ্ঠান উচ্চ মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে, যাদের ৭৬% থেকে ৯৯% রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।

রুবানা হক, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি, বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের ফলে যে সব প্রতিষ্ঠান প্রধানত এই বাজারে রপ্তানি করে, তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, শুল্কের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাজারেও প্রতিযোগিতা বাড়বে।

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের মোট রপ্তানির ৮৭ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে গত অর্থবছরে ১,৮১০টি প্রতিষ্ঠান ৬৬৯ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। জামাকাপড়ের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন হা-মীম গ্রুপ এবং এশিয়ান-ডাফ গ্রুপ। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের পণ্যের বড় অংশ রপ্তানি করে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পাল্টা শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের ঝুঁকি বাড়বে। তবে প্রতিযোগিতার দিক থেকে তাদের অবস্থান কেমন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।”

সরকারি পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বাণিজ্যিক বিশেষজ্ঞরা। দ্রুত মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা এবং বাজারের পরিস্থিতির উপর মনোযোগ দিতে হবে। তাছাড়া, শুল্ক যৌক্তিকীকরণের পথে পদক্ষেপ নিতে না পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় প্রভাব পড়বে।

এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সরকার ও রপ্তানিকারকদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে মার্কিন বাজারে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় রাখা সম্ভব হয়।

১৬৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন