মার্কিন পণ্য আমদানিতে গড় শুল্ক ৬ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি শুল্ক হুইস্কিতে

রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫ ৬:৩২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে গত বছরে আমদানিকৃত পণ্যের গড় শুল্ক হার ছিল ৬ শতাংশ। অর্থাৎ, যদি কোনো পণ্যের মূল্য ১০০ টাকা হয়, তবে সরকারের শুল্ক-কর ছিল ৬ টাকা ১৫ পয়সা।
তবে ব্যবসায়ীরা পরে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), অগ্রিম আয়কর এবং অগ্রিম কর সমন্বয় করে নেন, যার ফলে প্রকৃত গড় শুল্কহার কমে দাঁড়ায় ২.২০ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশ ২৯১ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য আমদানি করেছে, যার শুল্কায়ন মূল্য ছিল ৩৫ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে মোট শুল্ক আদায় হয়েছে ২ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।
মার্কিন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দুটি প্রধান শ্রেণি রয়েছে—একটি হলো রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল, যা বন্ড সুবিধায় আসে এবং শুল্ক দিতে হয় না। অপরটি অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য আমদানি করা পণ্য, যেগুলোর মধ্যে ৭৯ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য শুল্কমুক্ত। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক ছিল ৬১১ শতাংশ, যা হুইস্কির ওপর ছিল। তবে, হুইস্কি আমদানি ছিল মাত্র ২২৮ বোতল, যার জন্য শুল্ক আদায় হয়েছিল ৩১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শুল্ক ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির ওপর, যার শুল্ক ৪৪৩ শতাংশ। এই গাড়ির শুল্ক থেকে ১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
পণ্যগুলোর মধ্যে আরো কিছু ছিল যেগুলোর শুল্ক হার অনেক বেশি, যেমন ভ্যাপ ও ই-সিগারেট (২৮৯%) এবং শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও গাড়ি (১৬০০ থেকে ২০০০ সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি)। তবে, শুল্ক আদায়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল পুরোনো লোহার টুকরার, যা রড তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পণ্য থেকে ৪ শতাংশ শুল্ক হারেই ৪৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক কমানোর পর্যালোচনা চলছে, যেখানে সরকার এমন পণ্যগুলো বিবেচনা করবে, যেগুলোর শুল্ক অনেক বেশি, যেমন বিলাসপণ্য। ভারত ও চীন থেকে পণ্য আমদানি সহজ এবং কম খরচে হলেও, মার্কিন পণ্য মানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলো আমদানি করা হয়।
১৩০ বার পড়া হয়েছে