সর্বশেষ

বিনোদন

ঢাকার মাঠ, পার্ক ও রাস্তা দখল করে অনুমতি ছাড়াই মেলা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:০১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকা শহরের বিভিন্ন খেলার মাঠ, পার্ক ও রাস্তায় অনুমতি ছাড়া মেলা বসিয়ে বাণিজ্য করছেন বিএনপি সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত এসব জায়গায় ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মেলা বসানো হলেও, কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

অনুমতি ছাড়াই দখল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ জানায়, মেলা আয়োজনের জন্য একাধিক আবেদন এলেও মাঠ ও পার্কে মেলা বসাতে না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। পুলিশকে অনুরোধ করেও মেলা বন্ধ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী।

মেলা বসেছে যেসব স্থানে:

ধূপখোলা আন্তর্জাতিক খেলার মাঠ
নারিন্দার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা মাঠ
মালিটোলা পার্ক, ইংলিশ রোড
ধোলাইখালের প্রধান সড়কের একটি অংশ
মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের প্যারিস রোড খেলার মাঠ (উত্তর সিটি)
ক্লাবের নামে বাণিজ্য
ধূপখোলা মাঠে 'ইস্ট এন্ড ক্লাব' নামে একটি ক্লাব মেলার আয়োজন করেছে। ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন খান টিপু। তিনি স্বীকার করেছেন যে, ক্লাবের তহবিলের জন্য আয় হয়েছে, তবে ব্যক্তিগত লাভের কথা অস্বীকার করেন। এই মেলা চলবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত।

রাজনৈতিক প্রভাব
নারিন্দার মাঠে আয়োজিত মেলার পেছনে রয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা কবির হোসেন। মেলার তোরণজুড়ে রয়েছে তার নামসহ ব্যানার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন তিনি, তবে সিটি করপোরেশনের অনুমতির বিষয়ে কিছু বলেননি।

ইংলিশ রোডের মালিটোলা পার্কেও একই চিত্র। সেখানে টাঙানো হয়েছে জিয়া পরিবারসহ বিএনপি নেতাদের ছবি। আয়োজক ইয়াকুব জাহিদ, যিনি বংশাল থানা কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, দাবি করেন পুলিশের অনুমতিতেই মেলা আয়োজন করেছেন।

রাস্তাও ছাড় পায়নি
ধোলাইখালের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও বসানো হয়েছে মেলা। স্থানীয় যুবদল নেতা সৌরভ রাসেল রাস্তার একাংশ দখল করে মেলা চালাচ্ছেন। পুলিশের সহযোগিতায় মেলা চলছে বলে জানান তিনি। যদিও এটি যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।

উত্তর সিটিতেও একই চিত্র
মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের প্যারিস রোড মাঠে টিকিট কেটে ঢুকতে হচ্ছে মেলায়। মাঠ ঘিরে টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছে এবং স্টল বসানো হয়েছে। এই মেলায় স্টল বরাদ্দ পেতে গুনতে হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। আয়োজকেরা বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

বিশেষজ্ঞদের মত
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, মাঠ ও পার্কের এই দখলদারিতে সিটি করপোরেশনের নীরবতা উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে গিয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

১৪৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
বিনোদন নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন