সরবরাহ কমায় বেড়েছে মাছ ও সবজির দাম, মাংসের দাম কমেছে

শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫ ৩:৪০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছুটা বাড়তি দাম থাকার পর এখন রাজধানীর বাজারে গরু ও মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কমেছে।
তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে সবজি ও মাছের বাজারে—সরবরাহ কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া ও শ্যামবাজার এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটিতে অনেক ব্যবসায়ী শহরের বাইরে থাকায় পণ্যের সরবরাহ কমেছে। ফলে সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে। যদিও মুরগি ও গরুর মাংসে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের মধ্যে।
কমেছে মাংসের দাম
ঈদের আগে যেখানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২৫০-২৬০ টাকা, এখন তা নেমে এসেছে ২০০-২১০ টাকায়। সোনালি মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩১০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ৩২০-৩৩০ টাকা। গরুর মাংসের দামও কিছুটা কমে এসেছে, এখন কেজি প্রতি ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে ঈদের আগে তা ছিল ৭৫০-৮৫০ টাকা।
সূত্রাপুর বাজারের এক গরুর মাংস বিক্রেতা জানান, “ঈদের পর সপ্তাহখানেক মাংসের চাহিদা কমে যায়। অনেকেই ঈদের সময় মাংস খেয়ে থাকেন, তাই এই সময় মাংস বিক্রি কম হয়। ফলে দামও কিছুটা কমে।”
মাছের বাজার চড়া
মাংসের বাজারে ক্রেতার চাপ কম থাকলেও মাছের চাহিদা বেড়েছে। ফলে প্রায় সব ধরনের মাছেই কিছুটা করে দাম বেড়েছে। পাঙাশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, সরপুঁটি ২২০-২৩০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, বড় রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০-৩২০ টাকা এবং কাতল মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে।
নদীর মাছের সরবরাহ কম থাকায় চিংড়ি, শিং, ট্যাংরা, শোল ও পুঁটি মাছের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। চাষের চিংড়ি কেজি প্রতি ৬৫০-৭৫০ টাকা, আর নদীর চিংড়ি ৮০০-১,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী
ঈদের ছুটির পর রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ, টমেটো, পেঁপে, শসা ও লেবুর দাম বেড়েছে। টমেটো এখন ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লেবুর দাম পড়ছে ৮-১০ টাকা।
গেণ্ডারিয়া এলাকার এক ক্রেতা বলেন, “ঈদের আগে যেভাবে দাম বেড়েছিল, এখন কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু মাছ আর সবজির দাম এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। একটা মাঝারি সাইজের লাউ ৭০ টাকা, আর চারটি লেবু কিনতে লাগে ৪০ টাকা।”
ফের স্বাভাবিক হতে পারে বাজার
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে থাকা ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে ফিরছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামীকাল রোববার থেকে বাজারে সরবরাহ ও ক্রেতার উপস্থিতি বাড়বে, আর তাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরতে পারে।
১১৬ বার পড়া হয়েছে