আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত, আতঙ্কে অনেক মানুষ

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:১৯ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। এর ফলে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ভেসে গেছে।
বাঁধ ভাঙার কারণে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের দিন এ ধরনের বিপর্যয়ের কারণে তাদের আনন্দ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকালে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামে আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘেরের কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে চলে যায়।
বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে তারা ঈদের নামাজ পড়তে ব্যস্ত ছিলেন। নামাজ শেষে তারা জানতে পারেন, আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের কাছ থেকে দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ নদীর মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। এরপর মসজিদের মাইকে প্রচার করে গ্রামবাসীকে দ্রুত ভাঙন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা বিকল্প বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করেন, তবে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করেও তা আটকে রাখা সম্ভব হয়নি।
সাড়ে ১১টার দিকে প্রবল জোয়ারের তোড়ে বাঁধের অবশিষ্ট অংশ ভেঙে গিয়ে পানি স্থানীয় এলাকায় প্রবাহিত হতে শুরু করে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ইতোমধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনুলিয়া এবং আশপাশের কিছু গ্রামে পানি ঢুকে গেছে। এসব গ্রামে বাড়ি-ঘরে পানি প্রবাহিত হয়েছে, এবং মৎস্য খামারগুলোও ভেসে গেছে। দ্রুত বাঁধ তৈরি না হলে খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস জানান, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণরূপে নদীর গর্ভে চলে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। পাউবোর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবে) বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পাওয়ার পর কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে