সর্বশেষ

জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম, বিশ্ববাজারে নতুন রেকর্ড

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড গড়েছে, এবং আজ সকালে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩,১৪৮ ডলারে পৌঁছেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার আগে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনায় টাকা ঢালতে শুরু করেছেন, যা দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামীকাল ট্রাম্প চারটি পৃথক দেশের জন্য শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছেন, বিষয়টি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তবে, যার পণ্যে শুল্ক আরোপ হবে, সেই দেশের জন্য এটি এক আতঙ্কজনক দিন হতে চলেছে। শুল্ক আরোপের সম্ভাবনার কারণে ইউরোপ এবং এশিয়ার শেয়ারবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক পরিমাণে শেয়ার বিক্রি করেছেন।

শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সেটি সোনার দাম বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিশ্চয়তা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হলেও সোনার জন্য তা স্বর্ণযুগ। সাধারণত, যত বেশি অনিশ্চয়তা, তত বেশি সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। অর্থনৈতিক সংকট বা মূল্যস্ফীতির সময়েও সোনার দাম বাড়তে দেখা যায়। কোভিড পরবর্তী সময়ে, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়, তখনও সোনার দাম резко বেড়ে গিয়েছিল।

এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার বাণিজ্যনীতির কারণে মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা আসতে পারে কিনা। তিনি নিজের স্বাভাবিক স্টাইলে বলেন, “আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পছন্দ করি না, কিন্তু মার্কিন অর্থনীতি একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। আমরা যা করছি, এর প্রভাব ব্যাপক এবং দীর্ঘমেয়াদী।” অর্থাৎ, ট্রাম্পের অদলবদল মূল্যবোধ অব্যাহত থাকবে, এটি পরিষ্কার।

সোনার চাহিদা গনিতীয়ভাবে দুইভাবে তৈরি হয়: এক হচ্ছে গয়নার চাহিদা এবং দুই, সোনায় বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষা। গুড মানের সোনার গয়নাগাটির চাহিদা চীন এবং ভারতে বেশি, কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোতে এটি কম নয়। আন্তর্জাতিক গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট সরবরাহের ৪৭ শতাংশ সোনার ব্যবহার গয়নায় হয়ে থাকে। পুরোদমে, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সোনার মজুতের দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী মোট সরবরাহের ২১ শতাংশ সোনার বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে, বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দাম বর্তমানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে। ঈদের পূর্বে সোনার দাম সাড়ে ১ হাজার ৭৭৩ টাকার বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। ফলে, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।

বিশ্বের বাজারে সোনা-কে একটি স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য পণ্য হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত, বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার সময় সোনার দামে খুব একটা ওঠানামা দেখা যায় না। সোনা কিনে রাখলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে না বলেই এটি মানুষের কাছে আকর্ষণীয়। গত ৫০ বছর ধরে সোনা বিনিয়োগ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে আসছে, যেখানে শেয়ারবাজার বা অন্য কোনও সম্পদ তা নিশ্চয়তা দিতে পারে না।

১৩০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন