মাদারীপুরে ৪ জনসহ সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে ৯ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় মাদারীপুরে ৪, রংপুরে ২, গাজীপুরে ১ এবং ফরিদপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চার যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে শিবচর-জাজিরা সীমান্তবর্তী কুতুবপুর সাহেব বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে শাজাহান তালুকদারের ছেলে মিঠু তালুকদার (শিবচর উপজেলার কুতুবপুর সাহেব বাজার), এবং জাজিরার কলম ঢালী কান্দির বাবুল ঢালীর ছেলে হৃদয় ঢালী রয়েছেন। অপর দুই নিহতের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের মতে, পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা গোলচত্বর থেকে কুতুবপুর সাহেববাজারের দিকে আসা দুটি মোটরসাইকেল বিপরীতমুখী হয়ে বেপরোয়া গতিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন। গুরুতর আহত অপর দুই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার টেক্সের হাট এলাকায় দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে নিহতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম রনি শিকদার (২৬)। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শাজাহানগঞ্জ ছোনাটি এলাকার জামাল শিকদারের ছেলে এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, রনি শিকদার গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর সার্কেলের সহকারী উপকমিশনার দ্বীন এ আলমের দেহরক্ষী ছিলেন। তিনি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রোপচার উপলক্ষে ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ সকালে মোটরসাইকেলে রওনা দেয়ার পর কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় পৌঁছালে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে এসে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রনি শিকদার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুটি আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় ওলামা দলের সভাপতি ও এক মাদ্রাসা ছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু ঘটে। এর আগে, সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ভাঙ্গার আলগি ইউনিয়নের ঝাটুরদিয়া বাসস্ট্যান্ডে এবং গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভাঙ্গার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বগাইল নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন, ওলামা দলের উপজেলার আলগি ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব মাতুব্বর। তিনি আলগি ইউনিয়নের সুকনি গ্রামের মৃত মোমিন মাতুব্বরের ছেলে। আর মাদ্রাসাছাত্র সাইমুন ইসলাম সুজাত (১০) যশোরের সৌদি প্রবাসী রিপন আহমেদের ছেলে। সাইমুন তার মামার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গার পল্লীবেড়া গ্রামের নাজমুল মেম্বারের ভাগনে ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইয়াকুব মাতুব্বর ঝাটুরদিয়া বাজারে হার্ডওয়্যার ও লেদারের ব্যবসা করতেন। ঈদের দিন বিকেলে দোকান শেষে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ঝাটুরদিয়া স্ট্যান্ডে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়, ফলে তিনি পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে ঢাকার ট্রাইল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, সাইমুন ইসলাম সুজাত গত মঙ্গলবার ইফতারের পর আতশবাজির লোভে পড়ে এক বন্ধুর মোটরসাইকেলে মালিগ্রাম বাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের বগাইল সার্ভিস সড়কে গতি হারিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক মারা যান, এবং সাইমুন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করেন, যেখানে সাত দিন চিকিৎসার পর আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়।
১৩০ বার পড়া হয়েছে