সর্বশেষ

সারাদেশ

ময়মনসিংহ কারাগারে ঈদের তিন জামাত, বন্দিদের জন্য উন্নত খাবার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫ ১২:২৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কারাবন্দিদের জন্য সকাল ৯টায় এবং কারারক্ষীদের জন্য সকাল ৮টায় দুটি জামাত বিরতিবিহীনভাবে পালিত হয়।

ঈদ উৎসব উপলক্ষে, সরকারের নিয়মিত খাবারের সঙ্গে ১৫০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়েছে যাতে বন্দিরা ঈদের আনন্দ নানা ভাবে উপভোগ করতে পারেন।

ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারাগারে বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ১ হাজার ৯৫০ জন। ঈদের জন্য বিশেষ খাবারের মেনু প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে বন্দিরা সবাই একই খাবার উপভোগ করতে পারেন।

সারাবছর বন্দিরা সরকারিভাবে সকালে হালুয়া, রুটি ও ডিম, দুপুরে ভাত, ডাল ও সবজি এবং রাতে ভাত, ডাল, মাছ অথবা মাংস পেয়ে থাকেন। কিন্তু ঈদের দিন সকালবেলা বন্দিরা পায়েস, সেমাই ও মুড়ি মেনুতে পান। দুপুরে তাদের জন্য ছিল পোলাও, মুরগির রোস্ট, গরু বা খাসির মাংস, সালাদ, কোমল পানীয়, মিষ্টি ও পান, আর রাতের খাবারে রয়েছে ভাত, আলুর দম, মাছ ভাজি ও সবজি।

অন্যান্য বারের মতো এবারও, ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও পরের দিন বন্দিরা টেলিফোনে স্বাভাবিক নিয়মের তুলনায় পাঁচ মিনিট বেশি সময় কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাদের মধ্যে হাসি ও আনন্দের উৎস তৈরি করেছে।

সিনিয়র জেল সুপার উল্লেখ করেন, কারাগারে বর্তমানে কোনো ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি নেই এবং সকল বন্দির জন্য ঈদের দিন সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এদিন তারা নিজেদের পরিবারের রান্না করা খাবারও খেতে পারেন।

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী দলের অনেক নেতা বিভিন্ন কারাগারে আটক হয়েছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য তারা অসহায় বোধ করছেন, কারণ ফোনের মাধ্যমে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এক আওয়ামী লীগ কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা দেশে নানা জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু তাদের ভাইরা কারাগারে।

এদিকে, কারারক্ষীদের জন্যও ঈদের দিন কারাগারে কাটাতে হয়। ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. আব্দুল কাদির বলেন, তারা কারাগারে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেন, যা তাকে দুঃখিত করে না। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়, কিন্তু কারাগারে বন্দিদের সাথে ঈদ উদযাপন করাটা অনেক ভালো লাগে।

অবশেষে, সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, কারাগারের বন্দিরাও সমাজের সদস্য এবং তাদের ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। কারারক্ষী এবং বন্দিরা যখন ঈদে বাড়িতে যেতে পারেন না, তখন আমরা সবাই মিলে এক পরিবারের মতো ঈদ পালন করি।

১১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন