সর্বশেষ

সারাদেশ

শোলাকিয়ায় ১৯৮ তম ঈদ জামাত, ৬ লক্ষাধিকের অংশগ্রহণ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫ ১২:১৭ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানে ১৯৮তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় এ নামাজের ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। জামাত শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে থেকেই মাঠে মুসল্লিদের পদভরে যায়।

সকাল ১০টায় যখন জামাত শুরু হয়, তখন আশপাশের সড়ক, অলিগলি ও আবাসিক এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। লাখো মুসল্লির একসাথে আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে শোলাকিয়া ঈদগাহ এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, এবার শোলাকিয়ায় ৬ লক্ষাধিক মুসল্লির উপস্থিতি নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মানুষের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়। ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের সুরক্ষা কামনা এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও উন্নতির জন্যও দোয়া করা হয়।

নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে মাঠে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়, পাশাপাশি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন ছিল। মাঠের মুসল্লিদের নজরদারির জন্য ৬টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়।

২০১৬ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর শোলাকিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করা হয়। ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে নামাজের সময় ১,১০০ পুলিশ সদস্য, ৫ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, আনসার ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নও মাঠে ও তার আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে নজরদারিতে ছিলেন। এছাড়া ফায়ার ব্রিগেড, অ্যাম্বুলেন্স, মেডিক্যাল টিম এবং পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত ছিল।

দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) ট্রেনটি ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে বের হয়। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় উভয় ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশনে ফিরে যায়। নিরাপত্তার কারণে মুসল্লিরা মাঠে কেবল জায়নামাজ ও মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করেন।

ঐতিহ্য অনুসারে জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী শটগানের তিনটি গুলি ছুড়েন, এরপর জামাত শুরুর ১০ মিনিট আগে আরও দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি গুলি ছোড়া হয়।

১১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন