মধ্যরাতে কেনাকাটা শেষ করে ঘরে ফিরে দেখে তালা ভাঙা

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫ ৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
লালবাগের দুই ব্যবসায়ীর পরিবার ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়ার আগে তার ঘর ভালোভাবে তালাবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু যখন তারা মধ্যরাতে ফিরলেন, তখন দেখে তাদের ঘরের তালা ভেঙে চোরেরা স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা নিয়ে গেছে।
ঘটনাটি একটি সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরা পড়লেও, পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি, যা নিয়ে ভুক্তভোগীরা প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
স্বপন ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী জানান, "চোর আমার ঘরের দরজার তালা ভেঙে ছয় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। পুলিশে অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু চোর ধরার ব্যাপারে তারা কিছু করেনি।"
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী রিয়াদ উদ্দিন জানান, "অথিতি, আমার স্ত্রীর সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণও চুরি হয়ে গেছে। যদিও মামলা করেছিলাম, কিন্তু পুলিশ চোর ধরায় মোটেই আন্তরিকভাবে কাজ করছে না।"
রিয়াদ ও তাঁর স্ত্রী আইরিন এক ভবনের চতুর্থ তলায় বসবাস করেন, আর স্বপন ও তাঁর স্ত্রী আসমা নিচতলায়। ১৫ মার্চ রাতে ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ফিরে রিয়াদ ঘরের দরজায় তালা নেই দেখে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভেতরে ঢুকেই তারা দেখতে পান তাদের সব কিছুর এলোমেলে অবস্থা। রিয়াদ দ্রুত ওয়ার্ডরোবের দিকে যান এবং দেখেন, স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি নেই। আইরিন বিষয়টি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রিয়াদ তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন এবং এই ঘটনার পর স্ত্রী অশান্ত ছিলেন, যার ফলে তাঁর শাশুড়ি গ্রাম থেকে এসে পাশে থাকছেন।
অন্যদিকে, নিউমার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী স্বপন তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করেছিলেন। বাসায় ফিরে দেখেন দরজায় তালা নেই এবং বাইরে ছিটকিনি আটকানো রয়েছে। স্ত্রীর কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর, তিনি দ্রুত ভেতরে প্রবেশ করেন এবং অনেক কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে দেখতে পান। সিসিটিভি তে নজর দিলে দেখতে পান, চোর তার দুইটি সিসিটিভি ক্যামেরাও নিয়ে গেছে।
প্রায় ছয় লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় স্বপন হতাশ হয়ে পড়েন এবং জাতীয় জরুরি সেবা 999 নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং স্বপন সিসিটিভির ফুটেজে চোরদের ছবি দেখান। লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল খান বলেন, "চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং সিসিটিভির ফুটেজে চোররা ধরা পড়েছে। আমরা চোরদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।"
১২০ বার পড়া হয়েছে