চট্টগ্রামে প্রাইভেট কারে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২ আরোহী

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫ ৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা।
গুলিতে গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে যায় এবং প্রাইভেট কারের দুই আরোহীকে, যারা মোহাম্মদ মানিক (৩০) এবং আবদুল্লাহ (৩২), পরে গুলি করে হত্যা করা হয়। মানিক পেশায় গাড়িচালক এবং তাঁর বাড়ি হাটহাজারী মদুনাঘাটে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি রুপালি রঙের প্রাইভেট কার কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বাকলিয়া এক্সেস রোডে আসছিল। গাড়িটি যখন এক্সেস রোডের মুখে প্রবেশ করে, তখন তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল সেটিকে ধাওয়া করে এবং সেখান থেকে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হয়। প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে মোটরসাইকেল আরোহীদের লক্ষ্যে ছোঁড়া গুলি হলেও মোটরসাইকেল আরোহীদের হাতে অস্ত্রের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি এবং সবাই হেলমেট পরিহিত ছিল।
এই গুলির কারণে গাড়ির পেছনের কাচ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় এবং গাড়ির বিভিন্ন অংশে গুলির ফুটো হয়ে যায়। চালক মানিক ছিলেন গাড়ির চালকের আসনে। পাঁচ থেকে ছয় মিনিট গুলি করার পর মোটরসাইকেল আরোহীরা চলে যায়। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে মানিক এবং আবদুল্লাহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। গাড়িতে তাদের ছাড়া আরও চারজন ছিলেন, যারা আহত হন।
মানিকের মা, স্ত্রী ও সন্তানরা হাসপাতলে এসে তাঁর লাশ দেখেন। কান্না করতে করতে মানিকের মা বলেন, ‘আমি ময়নাতদন্ত চাই না, মামলা করব না। আমার ছেলের লাশ দিয়ে দেন।’ তিনি জানান, মানিকের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই।
পুলিশ জানায়, নতুন ব্রিজ এলাকায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মার্চ ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ায় আকরাম নামের এক ব্যক্তির ওপর গুলি করা হয়। আকরামের ব্যবহৃত গাড়ি এবং এই গাড়ির রং একই ছিল। সাজ্জাদের ধরে দেওয়ার পর হুমকির ঘটনায় আকরামের স্ত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন, যেখানে সাজ্জাদের স্ত্রীসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সুলতানা জানান, গুলির ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন এবং কী কারণে এবং কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়া কিংবা জমি দখল নিয়ে বিরোধের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১১৭ বার পড়া হয়েছে