চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহের তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫ ৮:৩৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভারতে মোটা অংকের বেতনের ভালো চাকরির লোভ দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এক তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত তরুণীকে জেলার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান শনিবার (২৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নির্যাতিত তরুণী ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে থানায় এসে এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, এবং বর্তমানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেদি হাসান ওরফে সবুজ (২৪), তাঁর ভাই সাকিব হোসেন (২০) এবং মোঃ গোলাম রসুল ওরফে রাকিব (২১)। সকলেই কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সোমা রানী দাস জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন মডেল ও পার্লারের রূপবিশেষজ্ঞ। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে সাতক্ষীরার গোলাম রসুলের পরিচয় হয়। বেকার হয়ে থাকার কারণে তিনি গোলাম রসুলের মাধ্যমে চাকরির প্রলোভনে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে আসেন ২২ মার্চ। সেখানে তাঁকে কালীগঞ্জ বাস টার্মিনালে মেহেদি ও গোলাম রসুলের দ্বারা নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করেন যে, রোববার তাঁকে মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দিয়ে কদমতলা গ্রামের আমিনুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে খাবারের সঙ্গে অচেতনকারী মাদক মেশানো হয় এবং এরপর একে একে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাঁকে শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামে নিয়ে আটকে রাখা হয় যেখানে মঙ্গলবার আবার ধর্ষণের শিকার হন। পরিশেষে, বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানান এবং দুপুরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
ওসি হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
১১৮ বার পড়া হয়েছে