৭ হাজার কারখানায় শ্রমিকদের ঈদ বোনাস হয়নি

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫ ৪:০১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নির্ধারিত সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পের অধিকাংশ কারখানাই শ্রমিকদের ঈদ বোনাস প্রদান করতে পারেনি।
এ ছাড়া চলতি মাসের অর্ধেক বেতনও পরিশোধে অনেক কারখানা পিছিয়ে রয়েছে। কিছু কারখানা এখনও বন্ধ থাকায় সেখানে বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণের সমস্যা চলমান। এসব তথ্য এসেছে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় ঈদের আগেই অনেকের বেতন-বোনাস প্রদান করা হয়নি। পোশাক, বস্ত্র, বেপজার অধীনে থাকা কারখানাগুলো, পাটকলসহ বিভিন্ন খাতের মোট ৯,৬৯৫টি কারখানার মধ্যে মার্চ মাসের বেতন প্রদান করেনি ৭,২২৪টি কারখানা। এছাড়া এখনও ১২২টি পোশাক কারখানায় ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এবং ৩০টি কারখানায় জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হয়নি। আরও ৭২৩টি পোশাক কারখানা এখনও ঈদ বোনাস দিতে পারেনি।
শিল্প পুলিশের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও বেপজার অধীনে মোট ২,৮৯০টি পোশাক কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে, এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ২,৭৬৮টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া জানুয়ারি বা তার আগের মাসের বেতন এখনও বকেয়া রয়েছে ৩০টি কারখানায়।
এদিকে, মার্চ মাসের বেতনের অর্ধেক পরিশোধ করেছে ৪২২টি কারখানা, তবে এখনও বেশ কিছু কারখানা এই সময়সীমা মেনে চলতে পারেনি। শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাটকলসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানাগুলোর মধ্যে বর্তমানে ৯,৬৯৫টি কারখানার মধ্যে ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে ৬,৬৭৩টি, যেখানে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ১,৮৩৫টি। এখনো ৭,৮৬০টি কারখানায় মার্চের বেতন বকেয়া রয়েছে, যা মোট কারখানার ৮১.৭ শতাংশ।
এ কারণে, সরকার নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করায় ১২টি কারখানার মালিকদের বিদেশ যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করা পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না।
গাজীপুরের সিগনেচার অ্যাপারেলস এবং কালিয়াকৈরের হ্যাগ নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকরা ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন না পেয়ে প্রতিবাদ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। তাদের অভিযোগ, ২৫ মার্চে ঈদ বোনাস এবং বেতনের টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও মালিকরা পালিয়ে গেছেন।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জে কিছু শ্রমিক ঈদের ছুটি বৃদ্ধি করার দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করেছেন, যার ফলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকদের ছুটির দাবি মেনে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এছাড়া, কিছু শ্রমিক পাঁচ দিন ধরে শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
১১৮ বার পড়া হয়েছে