ঈদ বাজার: বেড়েছে তরল-গুঁড়া দুধ, মুরগি ও শশার দাম

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫ ৩:২৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঈদ উপলক্ষে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মিল্ক ভিটার তরল দুধের দাম প্রতি লিটার ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরায় গুঁড়া দুধের দামও কিছুটা বেশি হতে দেখা গেছে।
তবে ঈদের জন্য পরিচিত পণ্য যেমন সেমাই, নুডলস, পোলাওয়ের চাল প্রভৃতি আগের মতোই রয়েছে।
ঈদের আগমুহূর্তে মুরগির দাম বেড়েছে আরো। গরু ও খাসির মাংসের দামও কিছুটা বাড়তি হয়েছে। এর পাশাপাশি লেবু, শসা ও বেগুনের দাম আগের মতোই বেশি রয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে দেখা গেছে, মিল্ক ভিটার তরল দুধের প্রতি লিটার দাম এখন ১০০ টাকা। গত ২১ মার্চ, মিল্ক ভিটা তাদের তরল দুধের দাম ৫৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা, এবং এক লিটার দুধ ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আড়ং এবং প্রাণও তাদের তরল দুধের দাম বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছে।
বর্তমানে গুঁড়া দুধের দাম প্রতি কেজিতে ৮২০ থেকে ৮৬০ টাকার মধ্যে রয়েছে। যেমন, ডিপ্লোমা দুধ ৮৬০ টাকা, ফ্রেশ দুধ ৮১০-৮২০ টাকা, স্টারশিপ ৬৫০ টাকা। দুটি মাস আগে গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তবে রোজার সময় গুঁড়া দুধের দাম বাড়েনি, কিন্তু কিছু খুচরা দোকানে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ভোক্তারা।
সেমাই, নুডলস, পোলাওয়ের চালসহ ঈদের বিভিন্ন পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই ৪৫ টাকায়, সাধারণ লম্বা সেমাই ৪০-৪৫ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির কেজির দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়লেও সব কোম্পানি নিয়মিত সরবরাহ করছে না, এবং চালের দাম এখনও কমেনি।
মুরগির দামও ঈদের আগে আরও বেড়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্রয়লারের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম এক সপ্তাহে ৪০ টাকা বেড়ে কেজিতে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মুরগির ডিমের দাম কমেছে, এখন এক ডজন ডিম ১১০ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের চাহিদা বেড়েছে, তাই দামও কিছুটা বাড়তি। মাছের দামও বেড়েছে, বিশেষ করে চাষের চিংড়ির দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, লেবু, শসা এবং বেগুনের দাম রোজার শুরু থেকেই চড়া। বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, এবং লেবু ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজি আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।
মগবাজারের বাসিন্দা রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার শুরুতে অধিকাংশ পণ্যের দাম ছিল স্থিতিশীল, তবে চাল, লেবু এবং শসার দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল। এখন ঈদের আগেও মুরগির দাম বেড়েছে, যা আমাদের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করছে।’
১২১ বার পড়া হয়েছে