প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড তৈরির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে

বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চলতি বছরের মার্চ মাসে ঈদের আগে প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসীরা মোট ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
শুধু শেষ দুই দিনেই এসেছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। মাসের আরও চার দিন বাকি থাকায়, এবার প্রবাসী আয়ে ৩০০ কোটি ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রমের সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রেমিট্যান্সের পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া না গেলেও, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড তৈরির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা দেশে ২৫২ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন। তুলনামূলকভাবে চলতি মার্চে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ১১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এই বৃদ্ধি আংশিকভাবে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে হয়েছে। ব্যাংকারদের মতে, অর্থ পাচার কমে যাওয়ার ফলে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলের প্রতি বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। এর ফলে রমজান মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
ডলারের সংকট হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি, ডলারের দামের অস্থিরতাও কমেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের ডলার ১২৩ টাকার মধ্যে কিনছে, যা আগের ১২৮ টাকার তুলনায় অনেকটাই স্থিতিশীল।
মার্চ মাসে রেমিট্যান্সের পরিসংখ্যান
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে ১৬৬ কোটি ডলার এবং ১৯ মার্চ পর্যন্ত এই আয় বেড়ে হয় ২২৫ কোটি ডলার। এরপর মাসের ২২ দিন শেষে এই অঙ্ক দাঁড়ায় ২৪৩ কোটি ডলারে। ২৬ মার্চে তা বেড়ে হয় ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। মাসের শুরুতে গড়ে প্রতিদিন ১১ কোটি ডলার এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ১২ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
ঈদ উপলক্ষে প্রবাসী আয়ের এই প্রবাহ গতানুগতিক প্রবণতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সাধারণত দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। গত বছর ঈদুল ফিতরের আগে মাত্র পাঁচ দিনেই ৪৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
অর্থনৈতিক প্রভাব
গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১,৮৪৯ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
ডলারের স্থিতিশীল দামে আমদানি ব্যয় কমেছে, যার ফলে খাদ্যপণ্যের দামও নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। আগে ডলারের দাম ১২৮ টাকা পর্যন্ত উঠলেও এখন তা ১২৩ টাকার মধ্যে সীমিত। ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতা কমে আসার ফলে ডলার বাজারও স্থিতিশীল হয়েছে।
১৩৭ বার পড়া হয়েছে