সর্বশেষ

ফিচার

ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী দুর্ঘটনা "তেনেরিফের বিপর্যয়"

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
১৯৭৭ সালের ২৭ মার্চ, স্পেনের তেনেরিফ দ্বীপের লস রোদেওস বিমানবন্দরে ভয়াবহ এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে, যা ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

এ দুর্ঘটনায় দুটি বিমান—প্যান অ্যাম ফ্লাইট ১৭৩৬ এবং কেএলএম ফ্লাইট ৪৮০৫—একই রানওয়েতে সংঘর্ষ করে, যার ফলে ৫৮৩ জনের মৃত্যু ঘটে এবং অনেক যাত্রী গুরুতর আহত হন। এটি "তেনেরিফের বিপর্যয়" নামে পরিচিত।

ঘটনার দিন, প্যান অ্যাম ফ্লাইটটি কয়েক ঘণ্টা বিলম্বিত ছিল এবং যাত্রীরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে আকাশে উড়ার অপেক্ষায় বসে ছিলেন। একে অন্যের সাথে কথাবার্তা বলছিলেন এবং অধিকাংশ যাত্রীই ভূমধ্যসাগরীয় এক ক্রুজে যাওয়ার জন্য উত্তেজিত ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার দিন পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে।

এদিকে, কেএলএম ফ্লাইটও তেনেরিফ বিমানবন্দরে আসছিল এবং রানওয়েতে তাদের উড়োজাহাজও খুব দ্রুত এগিয়ে আসছিল। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ছিল খুবই খারাপ। প্যান অ্যাম এর পাইলট ক্যাপ্টেন ভিক্টর গ্রাবস এবং তাঁর ক্রু যখন কেএলএম-এর দ্রুত আসতে থাকা উড়োজাহাজটি দেখেন, তখন তাঁদের অবস্থা ক্রিটিক্যাল হয়ে পড়ে। তবে তাঁরা সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, সেটি সম্ভব হয়নি।

এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়, কেএলএম উড়োজাহাজের পাইলট অনুমতি ছাড়াই টেক-অফের চেষ্টা করেন এবং এতে দুই উড়োজাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সময় কন্ট্রোল টাওয়ারে থাকা কর্মকর্তারা ভুলভাবে সঙ্কেত দেন এবং বিমান চলাচলের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি। এছাড়া, পাইলটদের মধ্যে ভাষাগত বিভ্রান্তি এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) অনুযায়ী, কেএলএম-এর ২৪৮ যাত্রী ও ক্রু এবং প্যান অ্যামের ৩৩৫ যাত্রী নিহত হন। যদিও প্যান অ্যামের উড়োজাহাজে ৬১ জন যাত্রী বেঁচে যান। এ দুর্ঘটনা সারা বিশ্বের বিমান চলাচলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে। আন্তর্জাতিক বিমানের নিয়মাবলীতে বদল আনা হয়, যেখানে পাইলট এবং কন্ট্রোল টাওয়ারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ইংরেজি ফ্রেজ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহমতের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এ দুর্ঘটনার পর, বিমানের ক্রু রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়, যাতে জুনিয়র পাইলটরা আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রধান পাইলটকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন এবং ত্রুটির ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়।

১৫৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
ফিচার নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন