শবেকদরে যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি

বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
শবে কদর শব্দটি ফারসি ভাষার। এখানে ‘শব’ অর্থ রাত বা রজনী, আর ‘কদর’ অর্থ মর্যাদা, সম্মান, গুণাগুণ, সম্ভাবনা বা ভাগ্য।
এ কারণে এই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এবং ভাগ্যনির্ধারণের রজনী হিসেবে বিবেচিত।
শবে কদর মানে হলো সম্মানিত রাত বা ভাগ্য রজনী। আরবিতে একে বলা হয় লাইলাতুল কদর, যার অর্থও একই—সম্মানিত বা মহিমান্বিত রাত। এই রাতটিকে কুরআনের ভাষায় হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিল হওয়ার ঘটনাটি এই রাতের মর্যাদাকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। আল্লাহ তাআলা এই রাতকে অসীম সম্মানিত এবং বিশেষ ফজিলতপূর্ণ হিসেবে দান করেছেন। প্রতিবছর রমজানের শেষ দশকের কোনো এক বিজোড় রাতে এই বরকতময় লাইলাতুল কদর উদযাপিত হয়।
এই রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে, তাই এই রাতকে বলে লাইলাতুল কদর। আল্লাহতায়ালা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামকে সমভিব্যহারে অবতরণ করেন; তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা বা ফজর পর্যন্ত। (আল কুরআন, সুরা-৯৭ [২৫] আল কদর)
মর্যাদার এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবেন? কী চাইবেন? এ সম্পর্কে হাদিসের একটি বর্ণনা এভাবে এসেছে- হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي
উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ'ফুয়্যুন; তুহিব্বুল আ'ফওয়া; ফা'ফু আ'ন্নী।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
১৩৫ বার পড়া হয়েছে